রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছাত্র সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহও রয়েছেন।
রোববার রাতে এই সংঘর্ষে আহত হয়ে অন্তত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষার্থী, আনসার সদস্যসহ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রয়েছেন।সচিবালয় এলাকায় রোববার রাত ৯টার পর এই সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা পিছু হটেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের পাশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী।
পরে আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান। এ সময় অনেক আনসার সদস্য সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রহরায় সচিবালয় এলাকা ছাড়েন। অন্যদিকে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বৈষম্যের শিকার। তাঁদের আশ্বাস দেওয়ার পরও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি। দাবি আদায়ের জন্য আজ রোববার দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আনসার সদস্যরা। তাঁদের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারছিলেন না।
সচিবালয়ে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রেখেছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তাঁরা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান। এরপর আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।