প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল লিড বাড়ানোর। সেই সুযোগ বেশ ভালোই কাজে লাগিয়েছে টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ৫ রান হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
চার ম্যাচের চারটিতে জয়ের পর জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে।
শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই হয় ছন্দপতন। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৪২ রানে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করেন সৌম্য। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।
১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই ব্রায়ান বেনেটের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
২৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে ১০ বলে ১৭ রান করা রাজাকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান।
দলীয় ৩২ রানে ১৩ বলে ১৪ রান করা মারুমানিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এরপর ক্যাম্পবেল ও ক্লাইভ মাদান্দে হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দলীয় ৫৭ রানে ১৮ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাদান্দে।
এরপর ক্রিজে আসা রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ক্যাম্পবেল। ৩৭ রানের জুটি গড়েন ম্যাচ জমিয়ে তোলেন এই দুই ব্যাটার। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বার্ল ২০ বলে ১৯ ও লুক জঙ্গুয়ে ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
তবে একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান ক্যাম্পবেল। তবে দলীয় ১০৩ রানে ২৭ বলে ৩১ রান করা ক্যাম্পবেলকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে প্রায় ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন সাকিব। তবে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে দলকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১০ বলে ১১ রান করা ফারাজকে আউট করেন মোস্তাফিজ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম বলেই মাসাকাদজার ক্যাচ মিস করেন তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারবানি।
চতুর্থ বলে মুজারবানিকে আউট করেন সাকিব। পরের বলে ক্রিজে আসা নাগারাভাকে আউট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। ১৯ ওভার ৪ বলে ১৩৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। সাকিব ৪টি ও মোস্তাফিজ নেন ৩টি উইকেট।