সহজ এবং নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এখন জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম। প্রতিনিয়ত কয়েকশ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন।
তবে অন্যান্য প্লাটফর্মের মতো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেও রয়েছে কিছু নিয়ম-কানুন। অন্যথায় আপনি পরতে পারেন নিষেধাজ্ঞার কবলে। ব্যান হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো।
আনঅফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাপ
অনেকেই মনে করতে পারেন যে, হোয়াটসঅ্যাপের আনঅফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করা ক্ষতিকারক নয়। মনে রাখবেন, আনঅফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ সংস্করণগুলো তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপাররা তৈরি করে। ফলে এটি অ্যাকাউন্ট ব্যান করতে পারে।
ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করা
ব্লক করা ছাড়াও, ব্যবহারকারীরা কারও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে রিপোর্টও করতে পারেন। যদি একাধিক রিপোর্ট একই ধরনের লঙ্ঘন প্রকাশ করে, তাহলে সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে।
অবৈধ কিছু সেন্ড করা
কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপে বেআইনি বা অবৈধ কিছু শেয়ার করেন এবং অন্যদের হুমকি দেন বা ঘৃণ্য ও আপত্তিকর সামগ্রী ছড়িয়ে দেন, তাহলে তিনি অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস হারাতে হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপে স্বয়ংক্রিয় কার্যকলাপ
যে কেউ যত খুশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কেউ অটোমেশন যেমন-বাল্ক মেসেজ, অটো-মেসেজিং এবং অটো-ডায়ালিং ব্যবহার করতে পারবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ এই ধরণের আচরণ সনাক্ত করতে এআই ব্যবহার করে।
স্ক্যাম ও ম্যালওয়ারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার
হোয়াটসঅ্যাপে এমন কনটেন্ট পাঠাতে দেয় না যা অন্য ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করে। যার মধ্যে ম্যালওয়্যার এবং স্ক্যাম রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার অনুমতি দেওয়া হয় না। এমন করার চেষ্টা করলে আপনি ব্যান হতে পারেন।
ভুয়া নিউজ ছড়ানো
হোয়াটসঅ্যাপ ‘মিথ্যা, ভুল উপস্থাপনা বা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি প্রকাশ করার’ সঙ্গে জড়িত কনটেন্ট নিষিদ্ধ করে। কেউ যদি এ ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করবে।