ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল ছিল রাফাহ। কিন্তু তা আর নিরাপদ রইলো না ইসরায়েলের আগ্রাসনে। যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাফাহতে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
মঙ্গলবার ভোরে চালানো বিমান হামলায় রাফাহতে ১৪ জন এবং আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ছয়জন নিহত ও অনেকে আহত হন।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোড় আপত্তি তোলে যুক্তরাষ্ট্র।
এমনকি সবশেষ ফোনালাপের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুকে সাফ জানিয়ে দেন, রাফাহতে বড় ধরনের হামলা চালানো হবে গুরুতর ভুল। পরে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাফাহ শহরে ইসরায়েলের আক্রমণের পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য
যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুকে তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু সব ধরনের মার্কিন আপত্তিকে পিছে ফেলে হামলা চালালো ইসরায়েল।
এ বিষয়ে সোমবার হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, জো বাইডেন রাফাহতে ইসরায়েলের বড় ধরনের সামরিক অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বলেছে, রাফাহতে হামলা চালালে তার পরিণতি খুব একটা ভালো হবে না। কারণ ৮০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজা উপত্যকার একমাত্র নিরাপদ স্থান এখন রাফাহ শহর।