জলি আহমেদ
যথাযোগ্য মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপন হয়েছে বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ সদস্য, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক দিনটির প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বন্ধু, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন নেতৃত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতীম জনগণ ও অন্যান্য যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সমর্থন দিয়েছেন তাদের স্মরণ করেন কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা।
জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল বলেন, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এসময় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসী সব বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারকরণে নতুন অধ্যায় শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কনসাল জেনারেল দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিয়ার লেভিন, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার দিলীপ চৌহান ও বিচারপতি সোমা সাইদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কস বরো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রতিনিধি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রতিনিধি, বিদেশি অতিথি, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।