যুক্তরাষ্ট্রের বিবিসির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ড কেইটি কে লিখেছেন যে এবারের বিতর্কের ফরম্যাট ছিলো আমেরিকানদের জন্য তুলনামূলক ভালো।
তবে সঞ্চালকরা তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেননি এবং এটা ছিলো জো বাইডেনের জন্য একটি খারাপ রাত।
তার অনেক জবাবই পরিষ্কার ছিলো না। তাকে বয়স্ক মনে হচ্ছিলো। তবে বিতর্কের দ্বিতীয় ধাপ তার জন্য কিছুটা ভালো ছিলো এবং তিনি কিছুটা শক্তি পেয়েছিলেন। তবে এটা হতে হতে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিলো।
বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতেছেন।কিন্তু এটা কী তাকে নির্বাচনে জিততে সহায়তা করবে?
আমেরিকার নির্বাচনে পর্যবেক্ষকরা কী বলছেন?
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের যারা মনোযোগ দিয়ে বিতর্ক দেখেছেন তারা অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান স্টেফাইন মারফি বিবিসিকে বলেছেন কিছু মূহুর্ত ছিলো যেখানে মি. বাইডেন তার বয়স তুলে ধরেছেন।
“তাকে বোঝাটা কষ্টসাধ্য ছিলো”।
কিন্তু অন্যদিকে তার মতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু মন্তব্য করেছেন যা ‘সত্যি নয়’ এবং এগুলো সত্যতা যাচাই করা উচিত। তিনি বলেন তার উদ্বেগের জায়গা হলো নির্বাচনের ফল গ্রহণ করবেন কি-না তা বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনীহা দেখিয়েছেন।
সাবেক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান রোডনি ডেভিস বলেছেন বিতর্কটি ছিলো ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিষ্কার জয়’।
“আমেরিকাজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের জন্য দুঃখজনক যে বিতর্কের ধরণটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেছে,” বলেছেন তিনি।
বিবিসির ম্যাডেলাইন হ্যালপার্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর কোরউইন স্মিডট বলেছেন যে বাইডেন তার অনেক দুর্বলতা দেখিয়েছেন এবং খুব বেশি শক্তির জায়গা দেখাননি।
ভিজুয়াল, কণ্ঠ ও জবাব দেয়ার গতির কারণে তাকে অনুসরণ করাটা কঠিন ছিলো।
“অনেক তথ্যভিত্তিক জবাব ও পয়েন্ট প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন। কিন্তু বলার ধরণের কারণে সেগুলো দ্রুত হারিয়ে গেছে,” বলছিলেন তিনি।
ট্রাম্পের পারফরমেন্স থেকেও অনেকে বেশি শক্তির জায়গা পাওয়া যায়নি এবং তিনিও কিছু দুর্বলতার প্রদর্শন করেছেন, বলেছেন তিনি।
“প্রশ্নের জবাবে তার উত্তরগুলো দৃঢ় ছিলো না। কিন্তু উত্তরগুলো তার ভোটারদের কিছু উদ্বেগ ও ইস্যুকে স্পর্শ করে গেছে,” বলছিলেন প্রফেসর স্মিডট। “তার সমর্থকরা তাকে চার বছর আগের প্রার্থীর মতোই দেখতে চায়”।