ঢাকায় এসেছে গ্রামের কিশোরী বুচি। চোখেমুখে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। সে উদ্দেশ্যেই ঢাকায় আসা তার। সবআনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ। এখন শুধু নায়িকা হওয়াটাই বাকি। নায়িকা হয়েও যানবেক সময়। এরপরই শুরু হয় অন্য এক জীবন।এই বুচি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরী। আর তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ।
সিনেমার নাম ‘লিপস্টিক’। এই ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে ছবি সংশ্লিষ্ট সবার খুশি হওয়ার কথা এটাইস্বাভাবিক। কিন্তু দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। উল্টো ছবি মুক্তি নিয়ে কাঁদলেন নায়ক আদর আজাদ নিজেই। কিন্ত কেন?
জানা গেলো, ‘লিপস্টিক’ মুক্তি দিতে প্রত্যাশিত প্রেক্ষাগৃহ না পাওয়ায় কেঁদেছেন তিনি। ফলে ছবীর ভবিষ্যৎ নিয়েওহতাশ আদর আজাদ।
আদর আজাদ যে শুধু নায়ক তেমনটি নয়, তিনি একাধারে প্রযোজক বটে। তার ধারণা ছিল, সিনেমা হল পাওয়ারদিক থেকে ২ নম্বর অবস্থান হবে ‘লিপস্টিক’ ছবির। শাকিব খানের পরের অবস্থান হবে তার।
এবারের ঈদে সর্বাধিক ১২০ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ ছবিটি। এরপর রয়েছে ‘ওমর’ ছবি। এটি ২৪ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয় চূড়ান্ত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে আদর আজাদ অভিনীত ওপ্রযোজিত ‘লিপস্টিক’ ছবিটি মাত্র সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।
আক্ষেপের সঙ্গে আদর আজাদ বলেন, আমার এই ছবির পেছনে অনেক বিনিয়োগ। আমি ঈদে আসব বলেছি।কিন্তু যখন ১৩–১৪টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তখন সবাই পেশিশক্তি, টাকার গরম, রাজনৈতিকসহ সব ক্ষমতা দেখাচ্ছে।দিন শেষে আমি পরিবারের জন্য যা করছি, আমার পরিবার আমার জন্য যা কিছু করছে, সব উৎসর্গ করে ছবিটাকরেছি। এখন আমি হল না পেলে কই যাব। আমার সব টাকা, মায়ের জমানো টাকা এই ছবির পেছনে লগ্নি করা।আমার গাড়িও বিক্রি করে দিয়েছি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদর আজাদ বললেন, আমার গাড়ি বিক্রির টাকার চেয়েও মায়ের অনেক দিনের জমানোটাকায় এই ছবি। কিন্তু বিষয়টা তো সেটা নয়, আমি একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা চেয়েছি। আমার ছবিটা ঈদেসুন্দরভাবে মুক্তি পায়, সেটার একটা পরিবেশ চাইছিলাম। শুধু আমার আশপাশে কোনো ক্ষমতাবান বড় ভাই নেইবলে কি পিছিয়ে গেলাম!
সাজগোজ প্রেজেন্ট সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ।