ভারতের জনপ্রিয় মসলা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এমডিএইচ। এভারেস্ট নামে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা মসলা তৈরি করে। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু পণ্যে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এমনকি এসব পণ্যে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে, যা মানুষের খাওয়ার অনুপযুক্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে।
এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এই কোম্পানির মসলা বেশ জনপ্রিয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে এমডিএইচ এর রপ্তানি করা ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ মসলা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে চলতি মাসে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তৈরি মাছের তরকারির জন্য তিন ধরনের মসলা বিক্রি বন্ধ করে দেয় হংকং। সিঙ্গাপুরও এভারেস্ট মসলাগুলো প্রত্যাহার করতে বলে।
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) তথ্যমতে, সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩ মে পর্যন্ত এমডিএইচের ৬৫টি চালানের মধ্যে ১৩টি বা ২০ শতাংশ চালান যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
প্রতিটি চালানে কী পরিমাণ মসলায় দূষণ ছিল, সে ব্যাপারে এফডিএ নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে পাঁচ মিশালি মসলা, চাটনি, মেথিসহ কয়েক ধরনের পণ্যের ১৩টি চালান যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে এফডিএ জানিয়েছে।
এফডিএর তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২২–২৩ অর্থবছরের এমডিএইচের ১১৯টি মসলার চালানের মধ্যে ১৫ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এগুলোর বেশির ভাগেই সালমোনেলা জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর আগে ২০২১–২২ অর্থবছরের ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ চালান সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
অপরদিকে ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এভারেস্টের ৪৫০টি চালানের মধ্যে সালমোনেলা জীবাণুর উপস্থিতির কারণে কেবল একটি চালান বাতিল করা হয়।
তবে এমডিএইচ ২৮ এপ্রিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্রেতা ও ভোক্তাদের আশ্বস্ত করছি যে আমাদের মসলা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ বা প্যাক করার কোনো পর্যায়ে ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহার করি না।
কয়েক দশক ধরে এমডিএইচ ও এভারেস্টের ভারতে বিশাল বাজার রয়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও বিক্রি হয় তাদের পণ্য।