নিউইয়র্ক নগরে বাড়ি ভাড়া করতে হলে যোগ্যতা প্রমাণের জন্য ভাড়াটিয়াদের প্রথমে বাড়ির মালিকের কাছে অনেক তথ্য দিতে হয়। যেমন ক্রেডিট চেক, চাকরি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ ব্যাকগ্রাউন্ড চেক। অনেকের পক্ষে এসব তথ্য নিজ থেকে তৈরি করে সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। যার ফলে তাদের একজন বিজ্ঞ রিয়েলটর বা আবাসন কোম্পানির শরণাপন্ন হতে হয়। রিয়েলটরদের কাছে থাকে বাড়ির তালিকা। সেখান থেকে পছন্দসই একটি বাড়ি বেছে নিতেও তাদের জন্য সুবিধা হয়। যার ফলে ভাড়াটিয়াকে বার্ষিক ভাড়ার ১০ শতাংশ হারা রিয়েলটরকে ব্রোকারেজ ফি হিসেবে দিতে হয়।
তবে কমার্শিয়াল প্রোপার্টিতে মালিকরাই ব্রোকারেজ দিয়ে থাকেন। ইদানীং এই ফি অবৈধ ঘোষণা করে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ল্যান্ডমার্ক ট্যানেন্ট প্রোটেকশন ল’ নামে আইন পাস করেছে। তাদের এই আইনের আওতায় ভাড়াটিয়াদের ব্রোকারেজ ফি দিতে হবে না। মালিকদেরই এই ফি দিতে হবে। তবে যদি কেউ নিজ থেকে এজেন্টের সাহায্য চান, তাতে কোনো বাধা নাই।
নতুন এই আইনের ফলে ভাড়াটেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ফি দিতে গেলে মালিকেরা ভাড়াটিয়া থেকেই তা আদায় করবেন। মালিকদের ১.৫০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর কথা থাকলেও এরই মধ্যে বড় বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো তাদের তালিকাভুক্ত এজেন্টদেরকে ১০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন। সে ক্ষেত্রে ২ হাজার ডলার ভাড়ার অ্যাপার্টমেন্টে ১০ শতাংশ যুক্ত হলে ২ বছরের লিজ বা ইজারায় আরও ৪ হাজার ৮০০ ডলার যুক্ত হবে, যেখানে এখন ২ হাজার ডলার দিয়েই চলছে। এই আইনের ফলে নগরর মিলিয়ন ডলার বাঁচবে কিন্তু নগরবাসীর ওপর বিরাট চাপ নেমে আসবে।
এই আইন প্রণয়নের চেষ্টা আগ থেকেই চলছিল। তবে গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট’ এই আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেয়। তাদের এমন সিদ্ধান্তে অনাস্থা এনেছে নিউইয়র্ক স্টেট অব রিয়েলটর। স্টেট ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর্টিকেল ৭৮ প্রসিডিংয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সংগঠনটি। প্রোপার্টির দামের ঊর্ধ্বগতি ও মজুত কম থাকার কারণে নগরীর ২৫ হাজারের বেশি এজেন্টের ব্রোকারেজ বিরাট এক আয়ের উৎস।