শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এরমধ্যে দেশের আলোচিত ব্যক্তি সৈয়দ সায়েদুল হকেরও (ব্যারিস্টার সুমন) খোঁজ মিলছে না। যদিও তিনি চুনারুঘাটে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নন। তবে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জাহির করেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে নেত্রী হিসেবে মনে করেন।
জানা গেছে, ছাত্রদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরে ব্যারিস্টার সুমন এলাকা ছেড়ে চলে যান, এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। তিনি দেশের ভেতরে কোথাও লুকিয়ে আছেন কি না বা আমেরিকা তার পরিবারের কাছে চলে গেছেন তা স্পষ্ট নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, ব্যারিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকায় আছেন। তবে এ তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্যতা নেই।
এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তারপর সৃষ্ট সংকট দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যান সুমন। ফলে তার এক অনুসারীর বাসায় গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেন সুমন।
এর আগে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমের কাছে পরিষ্কার বলেছিলেন, তিনি পালানোর মানুষ না। তিনি কোনোভাবেই এই দেশ ছাড়বেন না। দেশে মৃত্যু থেকে শান্তি আর কারো নেই। আমি আমরণ চেষ্টা করবো শেখ হাসিনার পাশে থাকার।
উল্লেখ্য, কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যারিস্টার সুমন। সবশেষ তিনি বলেছিলেন, এই আন্দোলন বিএনপি-জামায়াতের দখলে। তারপর সুমনকে তুলোধুনো করেন নেটিজেনরা