বিদেশ থেকে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা, অল্প ডিজাইন করে ২৪ ক্যারেটের কাঁচা সোনাকে সোনার গয়না হিসেবে লুকিয়ে আনার মাধ্যমে শুল্ক এড়ানোর চেষ্টা করেন। এবার এটি বন্ধ করেতে সোনার সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে ব্যাগেজ বিধিমালায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এজন্য ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধন ও যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা রোধে সোনার অলঙ্কারের সংজ্ঞা নির্ধারণ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যাগেজ বিধিমালা ২০২৩-এ পরিবর্তন আনছে সরকার। সেই সঙ্গে নতুন নিয়মও চালু করা হচ্ছে।
বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায়’ স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’
নতুন এই সংজ্ঞার কারণে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার দিয়ে ১০০ গ্রাম ওজনের মোটা চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২২ ক্যারেটের প্রকৃত স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন।
ব্যবসার উদ্দেশ্যে আনা ব্যাগেজের অপব্যবহার রোধে আনঅ্যাকোম্পানিড ব্যাগেজ শুল্ক-কর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, যাত্রীরা তাদের আনঅ্যাকোম্পানিড ব্যাগেজ কোনো খরচ ছাড়াই বিমানবন্দরে সংগ্রহ করতে পারেন।