রাজস্ব আহরণে ধীরগতি, মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটসহ নানা কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এমনিতেই চাপে। এ অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সরকার। ফলে চলতি অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে।
বিগত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ১৬ মার্চ সকালে ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায়। যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্নগতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা দেখতে চাই, বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই।
![ফাহমিদা খাতুন](https://www.usabanglanews.com/ubeenood/2024/03/cpd.jpg)
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেট প্রণয়ন হয় এক বছরের জন্য। বাজেটে যে নির্দেশনা থাকবে সেগুলো যেন মেটাতে পদক্ষেপ নিতে পারে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীলতা রাখা ও দরিদ্র মানুষের স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।
এ অবস্থায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই নীতিনির্ধারকদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে বলে মত দিয়েছে সিপিডি।
সিপিডির সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, অর্থপাচার রোধে এনবিআরকে শক্তিশালী ভূমিকা নেওয়া, অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করা, করদাতাদের হয়রানি বন্ধ করা, এবং ওষুধের ওপর ভ্যাট কমানো।
এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও আমদানি করা বই এসবে শুল্ক, ভ্যাট ও কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।
সিপিডি বলছে, বৈদেশিক মুদ্রার হারকে স্থিতিশীল করা মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।