ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পিউ কর্মকারের বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায়। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাবা-মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই…।’ পোস্টের শেষের দিকে হতাশার কথা উল্লেখ করে পিউ লেখেন, ‘সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কত ফ্রেন্ড, কত কিছু। কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই…হয়তো আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না। …আমার মৃত্যুর জন্য আমার বড় বড় স্বপ্নগুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই।’ পোস্টের শেষে সবার কাছে ক্ষমা চান এই তরুণী।
পিউয়ের চাচি জানান, বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন পিউ। সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফেরেননি। এরপর ফেসবুকে পিউর পোস্ট দেখতে পেয়ে স্বজনরা শহরের গোদারবাজার ও সোনাকান্দর ঘাট এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাত সোয়া ৮টার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।