যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটিতে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন এম এ আজিজ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত আমি। যে কোনো প্রয়োজনে আমি প্রবাসী বাঙালি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি এটা সবাই জানে। এই সোসাইটির ইতিহাসে আমিই প্রথম দুবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আগেও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলাম। এখন ১২ বছর হয়ে গেল আমি ট্রাস্টি বোর্ডের তিন তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বোর্ডের সদস্যরা কমিউনিটিতে আমার কার্যক্রম দেখেই ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ভোটে নির্বাচিত হয়েই আমি এখানে এসেছি। কারণ বাংলাদেশ সোসাইটির একটা গঠনতন্ত্র আছে। সেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনটি চলে।
নিউইয়র্কের বাঙালি ব্যবসায়ী এম এ আজিজ আরও বলেন, এক ব্যক্তি (শাহ নেওয়াজ) তিনিও বাংলাদেশ সোসাইটিতে ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। অথচ তার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অবস্থা। আর আমি প্রবাসী বাঙালি ভাইদের ভোটে নির্বাচিত হই।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কের মামাস পার্টি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ আজিজ।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আজকালে’ ইউর ড্রিম হোম কেয়ার নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এম এ আজিজ। একই সঙ্গে ৩১ মে ‘আজকালে’ প্রকাশিত ‘আজিজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদকে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদপত্রকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার হাতিয়ার না বানানোরও আহবান জানান মোহাম্মদ আজিজ।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বন্ধ করা যায় না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ফলে দেশ, জাতি ও সমাজ উপকৃত হয়।
প্রবাসের সংবাদকর্মীরাও তাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, অসামাজিক ও মর্যাদাহীন ব্যক্তিরা সমাজে নোংরামি ছড়ানো স্বাভাবিক, কিন্তু যখন কেউ কোনো সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করেন, তখন ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে অপপ্রচার চালানো মোটেই কাম্য নয়। এরফলে সংবাদপত্রের ওপর মানুষের যে আস্থা রয়েছে তা হারিয়ে ফেলবে।