সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত রুবায়েত ফাতেমা তনি। তিনি অনলাইন এবং নিজের শোরুমে পোশাক বিক্রি করেন। এবার তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এসেছে। বিদেশি পোশাক বলে দেশের তৈরি পোশাক বিক্রি করেন তারা। এমন কি সেই পোশাকের দামও রাখা হতো বেশি।
এমন নানা অভিযোগ পেয়ে ঢাকার গুলশানে পুলিশ প্লাজায় তনির ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানের সময় শোরুম কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখতে না পারায়, এবং শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তা সিলগালা করে দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তনির শোরুমে। কিন্তু সানভীস বাই তনির পক্ষ থেকে নোটিশের শুনানিতে যাওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল অনলাইনে এবং এই দোকানে।
তিনি বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
‘প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে তার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে ।‘
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে।
অভিযানের বিষয়ে তনি একটি বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতেন না। তার দোকানের কর্মচারীরা তাকে এ বিষয়ে কোনো অবহিত করেনি। তিনি অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।