স্বামীকে নিজের একটি কিডনি দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন ববিতা আক্তার (৩২)। তার কিডনিতে স্বামী বেঁচে গেলেও নিজে আর বাঁচতে পারলেন না। ছিনতাইকারীর হামলায় আহত হয়ে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানলেন তিনি।
২২ এপ্রিল রাত ১টার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ববিতা মারা যান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তার দেবর মো. কাদের হৃদয় বলেন, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ফুচকা খেতে যান ববিতা। স্বামীকে ওষুধ খাওয়ানোর সময় হওয়ায় রাত ৮টার দিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। তারা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে দুজন ছিনতাইকারী এসে ববিতার হাতে থাকা ব্যাগ ও গলায় থাকা সোনার চেইন টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান ববিতা।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ববিতাকে প্রথমে একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান তিনি।
নিহতের দেবর কাদের বলেন, আমার ভাইয়ের দুটা কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অক্টোবর মাসে আমার ভাবি একটি কিডনি দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলেন।